নিউজ ডেস্ক: পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বিপর্যস্ত, অনাহার গাজাবাসীর জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে প্রথম জাহাজ পৌঁছেছে দেশটির উপকূলে। গত মঙ্গলবার ২০০ টন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সাইপ্রাস থেকে রওনা হয়েছিল স্প্যানিশ জাহাজ ‘ওপেন আর্মস’।
ইন্টারনেটে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে গাজা উপকূলের জেটিতে নোঙর করা জাহাজটি থেকে ক্রেন দিয়ে লরিতে ত্রাণের মালামাল বোঝাই করতে দেখা গেছে বিভিন্ন অনলাইন সুত্রে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির বাসিন্দাদের জন্য সমুদ্রপথে সহায়তা পৌঁছাতে গাজা উপকূলে এই জেটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার ও বাধার কারণে গাজায় আকাশ ও স্থলপথে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ায় এই সমুদ্রপথকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তারই প্রথম চেষ্টায় গাজা উপকূলে পৌঁছায় জাহাজ ত্রানবাহী কার্গো জাহাজ‘ওপেন আর্মস’।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এই খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে চাল, ময়দা, লেবু, টিনজাত সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার
গাজায় কার্যকর স্থায়ী কোনো জেটি না থাকায় ডব্লিউসিকে এই জেটি নির্মাণ করেছে। তবে সেখান থেকে খাদ্যসামগ্রী কিভাবে গাজাবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, তা জানা যায়নি।
এদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ওপেন আর্মস’ জাহাজ এবং এর কার্গো সাইপ্রাসেই পরিদর্শন করা হয়েছে। এরপরই গাজা উপকূলের নিরাপত্তায় সেখানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
ত্রাণ সরবরাহের এই সামুদ্রিক মিশন সফল হলে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে আরো জাহাজ একই পথ অনুসরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওই অঞ্চলে পৌঁছাতে ত্রাণবাহী জাহাজগুলো নতুন একটি সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে পারে।
এছাড়া সমুদ্রপথে সহায়তা পৌঁছাতে গাজা উপকূলে আলাদা একটি ভাসমান ডক তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি তৈরি হলে দিনে ২০ লাখ মানুষের খাবার পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে হোয়াইট হাউজ। কিন্তু সামরিক একটি জাহাজ ডক তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে ওই পথে যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।