স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রামে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক আদিবাসী কিশোরীর নিহত হয়েছে। নিহতের নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। এঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
২৬ মার্চ দিবাগত রাতে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, নিহত সন্ধ্যা রানী গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ থানার শীশা বাঁশপীর গ্রামের হরিলাল এর কন্যা। সে রাজশাহী মহানগরের কর্ণহার থানা এলাকায় তার সৎ ভাই ফুলবাবু এর বাড়ীতে থাকতো। পারিবারিক বিষয় নিয়ে সৎ ভাই ও ভাবীর সাথে সন্ধ্যার এর ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিলো। একারনে সৎ ভাই ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে সৎভাই ও তার বন্ধ ুআদিল আহমেদ পলক এর সহযোগীতায় ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়ে অচেতন করে গোদাগাড়ীর গোগ্রামের মুরসালিন পিয়াস এর নির্মাণাধীন ভবনের দুইতলা নিয়ে পেটে ও গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ বাথরুমের ভিতরে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা সন্ধ্যার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খরব দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে এ হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড ভিকটিমের সৎভাই গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার শশিবাজার এলাকার হরিলালের ছেলে ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু ও তার সহযোগি রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামের আওয়াল হোসেনের ছেলে আদিল আহমেদ পলক কে আটক করে। পরে আটক পলক এর তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃকতরা এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।